নিম্নে ইউনিয়ন পরিষদের মোট জনবল এবং তাদের সম্মানী বা বেতনের একটি ছক দেওয়া হলো-
নির্বাচিত এবং মনোনীত জনবল | মোট সংখ্যা | মোট বেতন এবং সম্মানী |
চেয়ারম্যান | ১ | ১০৫০.০০ টাকা |
সদস্য(পুরুষ) | ৯ | ৪০০.০০ টাকা |
সদস্য(মহিলা) | ৩ | ৪০০.০০ টাকা |
সচিব | ১ | ১৭৫০.০০ টাকা |
দফাদার বা গ্রাম পুলিশ | ১ | ১০০০.০০ টাকা |
চৌকিদার | ৯ | ৭০০.০০ টাকা |
মোট | ২৪ | ১৪৯০০.০০ টাকা |
সুত্র:আহমেদ, টি(১৯৯৮):স্থানীয় সরকার সংস্কার ভাবনার দুই দশক, পৃষ্ঠা ৩৩
ইউনিয়ন পরিষদের কাজ বা দায়-দায়িত্ব
স্থানীয় মানুষের সমস্যার সমাধানের জন্য স্থানীয় সরকারের ভূমিকা প্রধানত; দু প্রকারের একটি হলো সেবা প্রদানকারী ভুমিকা যেমন রিলিফ বিতরণ, অবকাঠামোনির্মাণ ও বিচার সালিশ করা এবং অপরটি হলো সচেতনায়নকারীর ভূমিকা৷ ১৯৮৩ সালেরস্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) অধ্যাদেশ অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা ওকাজকে প্রধানত ৬ টি ভাগে ভাগ করা যায়৷ যেমন:
পুলিশি ও প্রতিরক্ষা দায়িত্ব;
জননিরাপত্তার জন্য জেলা প্রশাসকের সম্মতি সাপেক্ষে যে কোনও পুলিশি ওপ্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে ইউনিয়ন পরিষদ৷ ইউনিয়নের আওতাভুক্তএলাকার জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদেরনির্বাচত সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারিন৷ গ্রাম পুলিশের ব্যবস্থাছাড়াও পুলিশি ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে ইউনিয়ন পরিষদ৷ গ্রামপুলিশের ক্ষমতা ও কার্যাবলী সুনির্দিষ্ট করার মধ্য দিয়ে এবং বিধি অনুযায়ীপরিচালনা করা হলে জননিরাপত্তা অনেকটাই নিশ্চত করা সম্ভব (ধারা ৩১)৷
রাজস্ব ও প্রশাসনিক দায়িত্ব:
রাজস্ব ও প্রশাসনিক দায়িত্বের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো;
ক. ইউনিয়নে কর্মরত রাজস্ব আদায়ের কাজে নিয়োজিত সকল সরকারি কর্মচারীকে সহযোগিতা করা;
খ. জেলা প্রশাসক যেভাবে চাইবেন সেভাবে রেকর্ডপত্র প্রণয়ন, জরিপ ও শস্য তদারকি;
গ. কোন অপরাধ সংঘটিত হলে এবং ইউনিয়নে কোনও দুষ্কৃতিকারীর উপস্থিতি দেখাগেলে তা পুলিশকে জানানো এবং অপরাধের তদন্ত ও অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্যসহযোগিতা করা;
ঘ. কোন সরকারি সম্পত্তি বেদখল, ক্ষতিগ্রস্থ হলে দ্রুত তা কর্তৃপক্ষকে জানানো;
ঙ. সরকার বা অন্যান্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে প্রচারমূলক কাজে সাহায্য করা;
চ. সরকারি কর্মকর্তাদেরকে তাদের দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করা৷ তবে কোনকর্মকর্তার কাজে হস্তক্ষেপ বা ব্যাঘাত সৃষ্টি করা যাবে না(ধারা৩২)৷
৩.উন্নয়নমুলক দায়িত্ব:
ইউনিয়ন পরিষদ স্থানীয় পর্যায়ের উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু৷ উন্নয়নমূলককর্মকান্ডে ইউনিয়ন পরিষদের রয়েছে ব্যাপক ক্ষমতা৷ প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদ তারইউনিয়নের কৃষি, শিল্প, সমাজ উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা এবং এ বিষয়েবিভিন্ন সরকারি বেসরকারি কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করবে (ধারা ৩৩)৷
৪.হস্তান্তরিত দায়িত্ব:
বিধিমালা অনুযায়ী সরকার যে কোন সময় ইউনিয়ন পরিষদকে যে কোন দায়িত্ব প্রদানকরতে পারে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনও দায়িত্ব সরকার প্রত্যাহার করে নিতেপারে (ধারা ৩৫)৷
৫.আদালত বা বিচার সংক্রান্ত দায়িত্ব:
পদাধিকারবলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গ্রাম আদালতের প্রধান হিসেবেবিভিন্ন দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা-মোকদ্দমার নিষ্পত্তি করেন৷ ফলে জনসাধারণথানা ও জেলা আদালতে মামলা পরিচালনার বিভিন্ন অসুবিধা থেকে রেহাই পান৷ ১৯৭৬সালের গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ তফসিলে (প্রথম খন্ডে ফৌজদারী মামলা ও দ্বিতীয়খন্ডে দেওয়ানী মামলা) গ্রাম আদালতে বিচারযোগ্য মামলাসমূহের ঊল্লেখ রয়েছে৷এছাড়া চেয়ারম্যানের পাশাপাশি মেম্বাররাও ছোট ছোট ঝগড়া বিবাদ ও জমিজমাসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে ব্যক্তিগত উদ্যেগে সালিশের মাধ্যমে নিস্পত্তি করেথাকেন৷
৬.নাগরিক দায়িত্ব:
ইউনিয়ন পরিষদেরপ্রধানত প্রথম তফসিলের ১ম অংশে উল্লিখিত ৩৮টি কাজ করে থাকেন যা ঐচ্ছিক কাজ এবং ১০ টি আবশ্যিক কাজ করে থাকেন (ধারা ৩০)৷
ইউনিয়ন পরিষদের ১০টি আবশ্যিক কাজ
ইউনিয়ন পরিষদের ৩৮টি সাধারণ বা ঐচ্ছিক কার্যাবলী
১. জনপথ ও রাজপথের ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ;
২. সরকারি স্থান, উম্মুক্ত জায়গা, উদ্যান ও খেলার মাঠ এর ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ;
3.জনপথ, রাজপথ ও সরকারি স্থানে আলো জ্বালানো;
4. সাধারণভাবে গাছ লাগানো ও সংরক্ষণ এবং বিশেষভাবে জনপথ ও রাজপথ ও সরকারি জায়গায় গাছ লাগানো এবং সংরক্ষণ;
৫. কবরস্থান, শ্মশান, জনসাধারণের সভার স্থান ও জনসাধারণের অন্যান্য সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা;
6.পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা ও তা সংরক্ষণ;
7. জনপথ, রাজপথ এবং সরকারি স্থান নিয়ন্ত্রণ ও অনধিকার প্রবেশ রোধ;
8. জনপথ, রাজপথ এবং সরকারি স্থান নিয়ন্ত্রণ ও অনধিকার প্রবেশ রোধ;
9. ইউনিয়নের পরিচ্ছন্নতার জন্য নদী, বন ইত্যাদির তত্ত্বাবধান, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উত্কর্ষ সাধন এবং অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ;
10.গোবর ও রাস্তার আবর্জনা সংগ্রহ, অপসারণ ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা;
11.অপরাধমূলক ও বিপজ্জনক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ;
12.মৃত পশুর দেহ অপসারণ ও নিয়ন্ত্রণ;
13.পশু জবাই নিয়ন্ত্রন করা;
14.ইউনিয়নের দালান নির্মাণ ও পুনঃ নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণ নিয়ন্ত্রণ;
15.বিপজ্জনক দালান ও সৌধ নিয়ন্ত্রণ;
16.কুয়া, পানি তোলার কল, জলাধার, পুকুর এবং পানি সরবরাহের অন্যান্য কাজের ব্যবস্থা ও সংরক্ষণ;
17.খাবার পানির উত্সে দূষণ রোধের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ;
18.জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সন্দেহযুক্ত কূপ, পুকুর বা পানি সরবরাহের অন্যান্য স্থান নিষিদ্ধ করা;
19.খাবার জন্য সংরক্ষিত কূপ, পুকুর বাপানি সরবরাহের অন্যান্য স্থানে বা নিকটবর্তী স্থানে গোসল, কাপড় কাঁচা বাপশুর গোসল নিষিদ্ধ করা বা নিয়ন্ত্রণ;
20. পুকুর বা পানি সরবরাহের অন্যান্য স্থানে বা নিকটবর্তী স্থানে শন, পাট বা অন্যান্য গাছ ভেজানো নিষিদ্ধকরণ বা নিয়ন্ত্রণ;
21.আবাসিক এলাকার মধ্যে চামড়া রং করা বা পাকা করা নিষিদ্ধ করা বা নিয়ন্ত্রণ;
22. আবাসিক এলাকার মাটি খনন করে পাথর বা অন্যান্য বস্তু উত্তোলন নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ;
23. আবাসিক এলাকার ইট, মাটির পাত্র বা অন্যান্য ভাটি নির্মাণ নিসিদ্ধকরণ বা নিয়ন্ত্রণ;
24. গৃহপালিত পশু বা অন্যান্য পশু বিক্রয়ের ঐচ্ছিক তালিকাভুক্তিকরণ;
25. মেলা ও প্রদর্শনীর আয়োজন;
26. জনসাধারণের উত্সব পালন;
27. অগ্নি, বন্যা, শিলাবৃস্টিসহ ঝড়, ভূমিকম্প বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দূর্যোগ প্রতিরোধ তত্রতার ব্যবস্থা করা;
28. বিধবা, এতিম, গরিব ও দুঃস্থ ব্যক্তিদের সাহায্য;
29. খেলাধুলার উন্নতি সাধন;
30. শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়ন, সমবায় আন্দোলন ও গ্রামীণ শিল্পের উন্নয়ন সাধন ও উত্সাহ দান;
31.বাড়তি খাদ্য উত্পাদনের ব্যবস্থা গ্রহণ;
32. পরিবেশ ব্যবস্থাপনার কাজ;
33. গবাদি পশুর খোয়াড় নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণাবেক্ষনের ব্যবস্থা করা;
34. প্রাথমিক চিকিত্সা কেন্দ্রর ব্যবস্থা করা;
35. গ্রন্থাগার ও পাঠাগারের ব্যবস্থা করা;
36. ইউনিয়ন পরিষদের মত কাজে নিয়োজত অন্যান্য সংস্থার সাথে সহযোগিতা;
37. জেলা প্রশাসক বা থানা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশক্রমে শিক্ষার উন্নয়নে সাহায্য করা এবং
38. ইউনিয়নের বাসিন্দা বা পরিদর্শনকারীরউন্নয়ন, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, আরাম-আয়েস বা সুযোগ-সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয়অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ
এছাড়া বিভিস্ন আইনে ইউনিয়ন পরিষদের নানা ধরনের দায়-দায়িত্বেরও উল্লেখ রয়েছে৷ যেমন:
১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ -
তালাকের ক্ষেত্রে - এ আইন অনুযায়ী যদি কেউ তালাক দিতে চায় তবে তাকে ইউনিয়নপরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট নোটিশ দিতে হবে৷ নোটিশ পাবার পর ৩০ দিনের মধ্যেচেয়ারম্যান দু'পক্ষকে নিয়ে সালিশী পরিষদ গঠন করবেন৷ উদ্দৈশ্যে যদি সমঝোতারমাধ্যমে পুনর্মিলন ঘটানো যায়৷ তবে লক্ষ্য করতে হবে নোটিশ অবশ্যই স্ত্রী যেএলাকায় বসবাস করেন সে এলাকার চেয়ারম্যানের নিকট প্রদান করতে হবে৷ এভাবে ৯০দিনের মধ্যে চেয়ারম্যান উভয় পক্ষকেনিয়ে কমপক্ষে ৩ বার সমঝোতার চেষ্টাকরবেন৷ যদি উভয় পক্ষ সমঝোতায় রাজী না হন তবে ৯১ দিন থেকে তালাক কার্যকরীহবে৷
ভরণপোষণের ক্ষেত্রে -স্বামী যদি স্ত্রী কেভরণপোষণ দিতে ব্যর্থ হয় তবে স্ত্রী চেয়ারম্যানের কাছে এ বিষয়ে আবেদন করবে৷চেয়ারম্যান সালিশী পরিষদ গঠন করে ভরণপোষণের পরিমাণ নির্ধারণ করবেন এবং একটিসার্টিফিকেট ইস্যূ করবেন৷ স্বামী এরপরও নির্ধারিত ভরণপোষণ না দিলে বকেয়াভুমি রাজস্বের আকারে তা আদায় করতে পারবেন৷
বহুবিবাহের ক্ষেত্রে -যদি কোন ব্যক্তি এক স্ত্রী বর্তমান থাকা অবস্থায় আরেকটি বিয়ে করতে চায়তাহলে তাকে স্ত্রী/স্ত্রীদের অনুমতিপত্র এবং উক্ত বিয়ের কারণ দেখানোর পরচেয়ারম্যনের কাছে দরখাস্ত পেশ করতে হবে৷ তখন তিনি উভয পক্ষের ২ জন মনোনীতপ্রতিনিধিদের নিয়ে সালিশী পরিষদ গঠন করবেন৷ পরিষদ যদি উক্ত বিয়ে ন্যায়সঙ্গতমনে করেন তবে তা মনজুর করবেন৷ এক্ষেত্রে তার সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত৷ এমনকিযদি কেউ সালিশী পরিষদের অনুমতি ছাড়া বহুবিবাহ করেন তবে তার শাস্তি এক বছরবিনাশ্রম কারাদন্ড বা ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় প্রকার দন্ডে দন্ডিতহবে৷ পাশাপাশি অবশ্যই মনে রাখতে হবে স্ত্রীর নগদ ও বাকী দেনমোহরের টাকাপরিশোধ করতে হবে৷
১৯৩৯ সালের মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইন -মুসলিম আইনের আওতায় সম্পাদিত কোন বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে পারিবারিক আদালত যদিডিক্রি প্রদান করে তবে ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশঅনুযায়ী নির্ধারিত চেয়ারম্যানের বরাবরে ডিক্রির সত্যায়িত কপি রেজিষ্ট্রিকৃতচেয়ারম্যানের বরাবরে ৭ দিনের মধ্যে পাঠানো হবে৷ তখন তিনি এটাকে তালাকেরনোটিশ বলে গণ্য হবে৷ অতঃপর নির্ধারিত পদ্ধতিতে তালাক কার্যকর হবে৷
পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ -১৯৮৫- এ আদালত বিবাহ-বিচ্ছেদ, মোহরানা, ভরণপোষন, সন্তানের অভিভাবকত্ব ওদাম্পত্য সম্পর্ক পুনঃরুদ্ধার-এ ৫টি বিষয়ের অভিযোগের মীমাংসা করে থাকে৷এক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্যগণ পরিষদের কাজ হলো মাসিক সভায় নিয়মিতউপস্থিত হয়ে এলাকার নারী ও শিশুদের সমস্যা তুলে ধরা৷ এছাড়া উল্লিখিতক্ষেত্রগুলোতে যেকোন সমস্যাগ্রস্ত মহিলাকে ন্যায়বিচার পেতে সাহায্য করা৷
১৯৭৪ সালের মুসলিম বিবাহ ও তালাক নিবন্ধিকরণ আইন -এ আইন অনুযায়ী নির্ধারিত ফি সাপেক্ষে প্রতিটি বিয়ের রেজিষ্ট্রিবাধ্যতামুলক করা হয়েছে ৷ অতএব ইউ.পি র দায়িত্ব হলো প্রতিটি বিয়েররেজিষ্ট্রেশন নিশ্চিত করা৷
বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ১৯২৯-এ আইনঅনুযায়ী একটি পরিপূর্ণ বিয়ের জন্য ছেলের কমপক্ষে ২১ বছর ও মেয়ের কমপক্ষে ১৮বছর হতে হবে৷ এ ক্ষেত্রেবেশীর ভাগ সময় আমাদের দেশে জণ্ম নিবদ্ধন না থাকায়কাজী সাহেব বা অভিভাবকরা ছেলে মেয়ের বাল্য বিয়ে দিয়ে থাকেন যার ফল হিসেবেমেয়েকে অনেক ঝুঁকি পোহাতে হয় এমনকি মা ও শিশু মৃত্যু মুখে পতিত হতে পারে৷এক্ষেত্রে ইউনিয়ন ১০ টি আবশ্যিক কাজের মধ্যে একটি হলো জন্ম ও মৃত্যুররেজিষ্ট্রির হিসাব রাখা৷ সম্প্রতি রংপুরের পীরঞ্জের ১০ নং কাবিলপুরেরগণ্যমান্য ব্যক্তিরা মিলে একটি কমিটি গঠন করে তাতে ইউনিয়নের সকল কাজী সাহেবপ্রতিজ্ঞা করেন ইউ.পি চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট না পেলে কোন বিয়ে হবে না৷ফলশ্রুতিতে ঐ এলাকার বাল্যবিয়ের হার অনেক কমে গিয়েছে বলেএলাকাবাসী অভিমতপ্রকাশ করেছেন৷
যৌতুক নিষিদ্ধকরণ আইন ১৯৮০ - এ আইন অনুযায়ী যৌতুকআদান প্রদান আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷ এক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব হলোএ বিষয়ে সচতেনতা গড়ে তোলা৷
আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০-এ আইন অনুযায়ী দুস্থদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য ১ জন চেয়ারম্যান ও ১৪ জন সদস্যদের সমন্বয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ এ কমিটির প্রধান ইউ.পি চেয়ারম্যান৷ এ কমিটি জেলা বার এসোসিয়েশনের সম্পাদক বা জেলা জজের বরাবরে দুস্থদের পাঠিয়ে আইনগত সহায়তার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন৷ এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে টাকা দেয়া হয় না, আইনজীবী নিয়োগের মাধ্যমে মামলা পরিচালনার জন্য ব্যবস্থা করা হয়৷ এ সংক্রান্ত ফরম মাননীয় জেলা ও দায়রা জজ অফিসে পাওয়া যায়৷
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস